রাখাইনে গোলা ফেলে রেখেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, খাদ্য সরবরাহে বাধা

নিউজ ডেস্ক:মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে দেশটির সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনের গ্রামগুলোতে বোমা ফেলে রেখেছে, সেখানে খাদ্য এবং ত্রাণ সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে।

অ্যামনেস্টি জানায়, পূর্বে যারা রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ ও নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে সেই সেনা ইউনিটকেই আবার মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে চলা সেনাবাহিনীর এই অভিযনে ডিসেম্বর থেকে রাখাইনে ৫ হাজার ২০০ জন বাস্তুহারা হয়েছেন।

৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি মিয়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে সশস্ত্র হামলা চালালে রাখাইনে নতুন করে ধর-পাকড় আরাম্ভ করে দেশটির সেনাবাহিনী। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নির্বাহী তৃণা হাসান বলেন, ‘নতুন এই অভিযান আবারো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোন মানবাধিকারের তোয়াক্কা করে না। তারা গ্রামে বোমা ফেলে রেখেছে এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে, প্রমাণিত এই নিধনযজ্ঞ এই বার্তা দিচ্ছে যে, তারা আরো বেশি ভয়াবহতম কাজ করতে পারে।’

এর আগে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত এবং তাদের বিচারের মুখোমুরি করার আহ্বান জানায়। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক আইনে রাখাইনের রোহিঙ্গা, কাচিন এবং উত্তর শান প্রদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর জাতিগত নিধনের অপরাধযজ্ঞের অভিযোগ আনা হয়।