কটূক্তি করা সেই ফেসবুক আইডি টিটুরই

দ্বীন ইসলাম নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও পবিত্র ক্বাবা শরীফ নিয়ে অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার ঘটনায় অভিযুক্ত উগ্র হিন্দু টিটু রায় নিজের নাম লিখতে পারে না বলে পরিবারের লোকজন দাবি করলেও আইডিটা টিটু রায়ের নিজেরই। আইডিতে তার মা জীতেন বালাসহ অন্য স্বজনদের ছবিও পোস্ট করেছে টিটু।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টিটুর নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালু করার বিষয়টি ধারণা করা হলেও এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, যে আইডিতে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা হয়েছে সেই আইডিটি টিটু রায়ের। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে আলোচিত সেই ফেসবুক আইডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আরও তথ্য জানতে পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে টিটুর আইডিতে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা ছাড়াও তার মা জীতেন বালাসহ অন্য স্বজনদের ছবি এবং সেলফি তুলে পোস্ট করেছে সে।

গ্রামবাসীর কাছ থেকে ও এনজিও থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে নিজ বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমায় টিটু। গত সাত বছর ধরে গ্রামছাড়া সে।
এছাড়াও দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সে। গ্রামের বাড়িতে বিধবা মা ও ছোট ভাই বিপুলের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগও করতো না টিটু।

ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার ঘটনায় জুমার নামাজের পর রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের শলেয়াশাহ ঠাকুরবাড়ি গ্রামে স্থানীয় মুসল্লি ও গ্রামবাসীর প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলায় কয়েকজন মুসলিম যুবক নিহত হন ও আহত হন শতাধিক। এরপরও পুলিশ অজ্ঞাত শতাধিক প্রতিবাদী মুসলিমদের নামে মামলা করেছে। যে কারনে এখানে আশপাশের কয়েকটি মুসলিম গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। এরই মধ্যে পুলিশ শতাধিক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে।