যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিত

নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের আদালতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি এমপি রানা যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুুুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। অন্যদিকে রানার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মনসরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

পরে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এর আগে রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। আজ চেম্বার আদালতের সে স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগও বহাল রাখলেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ এ মামলায় হাইকোর্ট রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। পরে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান গত ১৪ মার্চ আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভূক্ত করে।

এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরন মিয়া আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন এমপি আমানুর রহমান খান রানার দিক দির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।