যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে ভাঙনও বাড়ছে

যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে ভাঙনও বাড়ছে

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা: যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার কিছু কিছু স্থানে ভাঙন বাড়ছে। উজানের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এনায়েতপুরের ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলায় ভাঙনের মাত্রাও বেড়ে গেছে। পাউবো থেকে জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ভাঙন থামছে না। ভাঙনে ক্রমশ বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব হচ্ছেন।

উজানের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার পানি ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। বন্যার প্রকোপ বাড়ার পূর্বাভাষ রয়েছে পাউবোর।

গত কয়েক বছর থেকে ভাঙন দেখা দিলেও স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেনি পাউবো। এনায়েতপুরে ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলায় রক্ষায় প্রায় ৬শ’ ৪৬ কোটি টাকার সাড়ে ৬ কি.মি. দৈর্ঘ্যের তীর রক্ষা প্রকল্প জমা দেওয়া হলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। পাউবোর কাঙ্খিত ওই প্রকল্পটি প্রি-একনেক হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে।

এদিকে, ভাঙন ঠেকাতে রোববার (২১ জুন) নদীর পাড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন অসহায় মানুষজন। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাউবোর কাছে দাবি তাদের।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। চলমান করোনার মধ্যে বন্যার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এনায়েতপুরে অনেক দিন থেকেই ভাঙন রয়েছে। পানি ক্রমাগত বাড়লে ভাঙন কমতে পারে। এনায়েতপুরের ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলায় জরুরি প্রতিরক্ষার কাজও চলছে, তারপরেও থেমে থেমে ভাঙন রয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ৬শ’ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ছয় কি.মি. তীর রক্ষা প্রকল্প পাস হলে ওই অঞ্চলে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। প্রকল্পটি প্রি-একনেক হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে থমকে রয়েছে।