মোগো এখন ভাতের পয়সাও জোগাড় হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারিভাবে আরোপিত নানা বিধিনিষেধের কবলে পড়ে ভালো নেই সদরঘাটের নৌকার মাঝিরা। নৌকা চালিয়ে তারা এখন তিন বেলা ভাতের পয়সা জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছেন। এছাড়াও রয়েছে মাসিক কিস্তি।

গত বুধবার থেকে সদরঘাটের সবকিছু বন্ধ। এরপর থেকে নৌকার যাত্রী কমে গেছে। যাত্রী কম হওয়ায় কমেছে ভাড়া। জীবিকার তাগিদে কোনো উপায় না থাকায় নৌকা চালাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় সরকার থেকেও তাদের সাহায্য করা হচ্ছে না।

সদরঘাটের নৌঘাট ঘুরে দেখা যায়, অনেক নৌকার মাঝি বসে আছেন যাত্রীর অপেক্ষায়। যাত্রী আগের মত নেই। দুই একজন আসছেন। নৌকার সংখ্যা অনেক। এপার থেকে ওপার অথবা ওপার থেকে এপার পার হতে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। আর যারা রিজার্ভ নিচ্ছেন তাদের জন্য বিশ টাকা। যাত্রীর চেয়ে নৌকা অনেক বেশি হওয়ায় বসে রয়েছেন অনেকেই।

ব্রিজ ঘাটের নৌকার মাঝি জাফর উদ্দিন বলেন, আগে প্রতিদিন গড়ে আটশ থেকে একহাজার টাকা আয় হতো।এখন দুই থেকে তিন শত টাকা হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার জিনজিরায় ভাড়া বাসায় থাকি। বাসা ভাড়া দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা। চার সদস্যের পরিবার। প্রতিদিন চাল লাগে দুই কেজি। বাজার লাগে দুইশত টাকার। ঘাটের খরচ আর আমার পকেট খরচ লাগে আরও একশত টাকা। সবমিলে দৈনিক ছয় থেকে সাতশত টাকা খরচ আছে। কিন্তু আয় হচ্ছে দুই থেকে তিনশত টাকা।

ওয়েজ ঘাটের নৌকার মাঝি হাসান রেজা বলেন, ভাই আমাদের তিন বেলা খাবারের টাকা জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছি। আগের মত আয় নেই। এরপর মাসে কিস্তি আছে। সব মিলে মহাবিপদে আছি।