মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মালয়েশিয়ায় সোনা কিনে তা ১০ মাস পর বিক্রি করলে দ্বিগুণ লাভ হবে। যে এক কোটি টাকা দিবে সে ১০ মাস পর দুই কোটি টাকা পাবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কম্পানি ইউনিপেটুইউ। লোভে পড়ে টাকা দিয়ে ১০ মাস পর দ্বিগুণ তো দূরের কথা আসল টাকার হদিস পায়নি গ্রাহকরা।

অভিযোগ পেয়ে টাকা আত্মসাত্কারী প্রতিষ্ঠান ইউনিপেটুইউর দুই কর্মকর্তাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কম্পানির দুই কর্মকর্তা এবং দুই এজেন্টের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৫১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে সিআইডি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। শাহবাগ থানায় করা একটি মামলায় গতকাল চারজনকে গ্রপ্তোর করে সিআইডি। তারা হলো ইকবাল আলী, দেওয়ান মঞ্জুর কবীর, এ এস এম জিয়াউল হক ও মিলন হাসান।

মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইউনিপেটুইউর অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এর ধারাবাহিকতায় কম্পানির দুই কর্মকর্তা এবং দুই এজেন্টের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৫১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পান সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা।

মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইউনিপেটুইউর মালিক বিদেশে পলাতক রয়েছে। এর আগেও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি দুদক তদন্ত করছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থ লেনদেন অবৈধ। কম্পানিটির এমডি ইমরান ও একজন জেনারেল ম্যানেজার জেলে রয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। বিদেশে পলাতক শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।