মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ায় দাবিদাওয়া প্রকাশ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ায় দাবিদাওয়া প্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তির যে খসড়া তৈরি করেছে তাতে সেনাবাহিনী ও ইউনিয়ন সরকারের কাছে কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ)’র সেনা সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্রের তালিকা জমা দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানী সূত্রগুলো ইরাবতীকে এ কথা জানিয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের মংলা স্পেশাল রিজিয়ন ৪-এ জাতীয় যুদ্ধবিরতির ৩০ বছর পুর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাইড লাইনে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় সরকারের শান্তি কমিশনের সদস্যরা কেআইএ-সহ নর্দান এলায়েন্সের সদস্যদের কাছে সেনাবাহিনীর তৈরি করা দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া হস্তান্তর করে।

কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু শুক্রবার ইরাবতীকে বলেন, তার সিনিয়র নেতারা সরকার ও সেনাবাহিনীর অনুরোধের জবাব দিতে বৈঠক করছেন।

কর্নেল নাও বু বলেন, কেআইএ নেতাদের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত এনআরপিসি’র (ন্যাশনাল রিকনসিরিয়েশন এন্ড পিস সেন্টার) কাছে পাঠানো হবে।

মুখপাত্র খসড়া চুক্তিটি দেখননি। তবে খসড়ায় কেআইএ-কে অস্ত্র ও সদস্যদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কেআইএ-কে জবাব দিতে হবে বলে কাচিন নিউজ গ্রুপের খবরে বলা হয়েছে।

নর্দান এলায়েন্সের (এনএ) সদস্য কেআইএ। এছাড়া এই গ্রুপে তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) রয়েছে। এনএ-এর সঙ্গে মুজে ও চীনে বেশ কয়েক দফা শান্তি আলোচনা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও ইউনিয়ন সরকার।

৩০ এপ্রিল শান রাজ্যের মুজেতে অনুষ্ঠিত শেষ দফা শান্তি আলোচনায় এনএ দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া তৈরি করে তা সেনাবাহিনীকে দেয়।

খসড়ায় যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানানো হলেও তা কার্যকর হওয়ার আগে সৈন্যদের ব্যাপারে নিস্পত্তি হতে হবে। এটি দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সবচেয়ে বড় ইস্যু।

প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী এনএ সদস্যদের বলেছে তাদের মূল ঘাঁটিতে ফিরে যেতে।

কর্নেল নাও বু বলেন, তারা যদি প্রথমে সেনা সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্রের বিষয়টি নিস্পত্তি করতে চায় তাহলে কেআইএ’র পক্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করা কঠিন হবে বলে আমি মনে করি।

এনএ চুক্তির খসড়ায় নিজস্ব রাজনৈতিক গ্রুপ গঠন এবং যুদ্ধবিরতিকালে উভয় পক্ষকে নজরদারি ও বলবতের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।