‘মিয়ানমারে ২০১৭ সালের সহিংসতায় ফেসবুকের ভূমিকা ছিলো’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে সহিংসতা হয়েছে তাতে ফেসবুকের ভূমিকা ছিলো। ওই সহিংসতার শিকার লাখ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

রোববার এক বিবৃতিতে ভয়েস অব রোহিঙ্গা, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্স হিউম্যান রাইটস, রোহিঙ্গা ‍ইয়ুথ ফর লিগ্যাল অ্যাকশন ও রোহিঙ্গা উইমেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস নামের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা জানায় যে তাদের সঙ্গে ফেসবুকের মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক মিরান্ডা সিজনস ও তার সহকর্মী অ্যালেক্স ওরাফোকার কথা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা তাকে জানিয়েছি যে মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হলে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি। ওই সহিংসতায় ফেসবুকের ভূমিকা ছিলো। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেয়া অনলাইন সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটির দায়িত্ব।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা সিজনসকে ফেসবুকের তথ্য আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সঙ্গে শেয়ার করতে বলেছি। আমরা শুনেছি ফেসবুক এটা করতে রাজি হয়নি।

মিয়ানমারের ঘটনাবলীর কোন তথ্যগুলো আইনি মামলায় ব্যবহার কর যায় তা চিহ্নিত করতে একটি স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা গড়ে ‍তোলার জন্য ফেসবুক কাজ করছে বলে সিজনস মানবাধিকার গ্রুপগুলোকে জানিয়েছেন।