মসলার বাজারেও উত্তাপ

ঈদের আগে মসলার বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র কুরবানীর ঈদ সামনে রেখে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দেশজুড়ে গরম মসল্লার বাড়তি চাহিদার মুখে বাজারে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গসহ গরম মসল্লার দাম বাড়ছে। মোটামুটি স্থিতিশীল থাকা মসলার বাজার গত সপ্তাহ থেকে চড়ছে। কোনো কোনো মসলার দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

তবে ঢাকার খুচরা বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের চেয়ে পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ ও হলুদের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা।

কারওয়ানবাজারের অ্যারাইট স্টোরের স্বত্বাধিকারী ও মসলা আমদানীকারক আবদুল মতিন বলেন, ঈদ খুব নিকটবর্তী, যে কারণে জেলা-উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীদের অর্ডার বেড়ে গেছে। সেইজন্য স্টকে মাল কমে গেছে বলে দাম কিছুটা বেড়েছে।”
মালিবাগের মার্জিয়া স্টোরের বিক্রেতা খুরশেদ আলম বলেন, গরম মসলার পাইকারি দাম বেড়েছে। এলাচি ৪০০-৫০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। আর দারুচিনি ও লবঙ্গের দাম বেড়েছে। জিরার দাম বাড়েনি।”

যদিও পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস।

“পেঁয়াজ রসুনের দাম নতুন করে বাড়েনি, কমেওনি। তবে মজুদ যথেষ্ট আছে বলে আড়তদাররা ঘরে না রেখে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। আর কয়েক দিন পর যেহেতু ঈদ সেজন্য ঘরে রাখতে চায় না কেউ। এই কারণে হয়তো কেউ কেউ দুই-এক টাকা কমে ছেড়ে দিচ্ছে।”

কাপ্তানবাজারের মেসার্স ওমর ফারুক ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক বলেন, ঈদ এগিয়ে আসায় পোল্ট্রি খামারিরা খামারে আর মুরগি রাখবে না। কারণ এগুলো থেকে গেলে আর বিক্রি করা সম্ভব হবে না। তখন লস বেশি গুণতে হবে। সেই কারণে মুরগি এবং খামারিরা দাম কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ আসলে এমনই হয়।”