ভুল বুঝতে পেরেছে রোহিঙ্গারা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ভুল বুঝতে পেরেছে রোহিঙ্গারা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। রোহিঙ্গারা এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বস্তি বোধ করছে। অচিরেই তারা দলে দলে এখানে আসতে শুরু করবে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আরও বাড়বে।’

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থানা উদ্বোধনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভাসানচর একটি সমৃদ্ধময় এলাকা হবে। ভবিষ্যতে এই থানাকে প্রয়োজনীয় জনবলসহ সবদিক দিয়ে আরও শক্তিশালী করা হবে।’

সেসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ও ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি দ্বীপ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬ কিলোমিটার। আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গ কিলিামিটার। হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।

চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে এ থানা গঠিত। ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এ বসবাসকারী মিয়ানমার হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাসহ অন্যান্যদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য এক জন পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), চার জন এএসআই (নিরস্ত্র), ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে ভাসানচর থানার কার্যক্রম শুরু হলো।

ভাসানচরে এক লক্ষ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এ থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।