‘ভার্চুয়াল কোর্টে ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও সুফল পাননি’

‘ভার্চুয়াল কোর্টে ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও সুফল পাননি’

নিউজ ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে দেশের তিন শতাংশ আইনজীবীও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেনি এবং ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও এর সুফল ভোগ করতে পারেননি। যে কারণে সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষোভের সুরাহা হওয়া দরকার।’

সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের নিম্ন আদালতগুলোতে নিয়মিত কোর্ট না খুললে অনেক আইনজীবীকে পেশা ছেড়ে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে অফিস, দোকানপাট, মিল, কল-কারখানা, বাস, লঞ্চ খুলে দেওয়া হয় এবং মহামারি প্রকট আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় সাময়িক ব্যবস্থা হিসাবে প্রধান বিচারক অল্প কয়েকজন বিচারককে নিয়ে ভার্চুয়াল আদালত চালু করেন। নিঃসন্দেহে এটা ভালো একটি কাজ হয়েছে এবং এজন্য প্রধান বিচারক প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু সাধারণ আইনজীবীরা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে পরিলক্ষিত করছে যে, ভার্চুয়াল পদ্ধতিকে একটা স্থায়ী পদ্ধতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং এটাকে সাধারণ আইনজীবী ও বার (আইনজীবী সমিতি) সংশ্লিষ্ট সকল আইনজীবী এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে বাংলাদেশের তিন শতাংশ আইনজীবীও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেননি এবং ৫ শতাংশ বিচারপ্রার্থীও এর সুফল ভোগ করতে পারেননি। যেই কারণে সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষোভের সুরাহা হওয়া দরকার।’

জয়নুল আবেদীন তার ব্যক্তিগত মতামতে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে-
ক্স ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা কোনো চিরস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না। ভার্চুয়াল ব্যবস্থা সাময়িক হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় আদালত খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ, যাতে সাধারণ আইনজীবীরা বিচারপ্রার্থী মানুষের পক্ষে কাজ করতে পারে।
ক্স সকল বিচারককে মোশন (মামলা গ্রহণের) ক্ষমতা দিয়ে সপ্তাহে আপতত ৩ দিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত আদালত চালানো যেতে পারে।

ক্স আইনজীবীরা এবং বিচারকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। আইনজীবী সমিতি এবং কোর্ট প্রশাসন কোর্টে বসার ব্যবস্থাপনা একইভাবে করা যেতে পারে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়।

ক্স বর্তমানে এই ব্যবস্থায় চলাকালীন কোনো সদস্য নন এইরূপ কোন আইনজীবী যাতে আদালতে প্রবেশ করতে না পারে, তা আইনজীবীর সমিতি নিশ্চিত করবে।

ক্স যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের কোনো অরিজিনাল জুরিসডিকশন নেই, তাই মক্কেল তার নিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে আদালত অঙ্গনের বাইরে আলোচনা করবেন।

ক্স নিম্ন আদালতগুলোও একই পদ্ধতিতে খোলা রাখা যেতে পারে, যাতে আইনজীবীদের মাধ্যমে সাধারণ জনগনের পক্ষে বিচার ব্যবস্থা সম্পন্ন হতে পারে।