ভারত থেকে মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠাবে আরএসএস!

 ‘মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের যেভাবে মেরে-কেটে বিতাড়ন করা হচেছ, অনুরূপভাবে ভারতের আসামের মুসলিম অধ্যুষিত চারটি জেলায় চলবে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার। ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) নাম নেই এবং ডি-ভোটার (সন্দেহজনক ভোটার) মুসলিমদের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের বিশেষ ক্যাডাররা ধরে ধরে বাংলাদেশে পাঠাবে।’
এ ধরণের গুজবে আসামের দক্ষিণ শালমারা-মানকাচার জেলাসহ হাটশিঙিমাটি এলাকার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছড়ানো বার্তা সম্পর্কে তদন্ত করে একে গুজব বলে জানিয়ে এতে কাউকে ভীত-সন্ত্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গুজবটি কোন দুষ্টচক্র ছড়িয়েছে তার সন্ধানে নেমেছে প্রশাসন। এ কথা জানিয়েছে পুলিশ সুপার অমৃতকুমার ভূঁইয়া।
রোববার ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ এমন খবর দিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, গত দুই মাস আগে আরএসএস-ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে আসামের সংখ্যালঘু অঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করেছিল। এবার নতুন করে জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে আরএসএস-এর স্পেশাল আর্মি গুজবে নতুন এক আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
গুজবে বলা হয়েছে, আসাম রাজ্য সরকার নাকি মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতে মুসলমানদের ডি-ভোটারের তকমা দিয়ে আরএসএস-এর বিশেষ আর্মির মাধ্যমে শারীরিক অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠাবে। তাছাড়া চলমান এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি)তে ভুল প্রমাণপত্র দাখিল করা হয়েছে বলেই এই গুজব রটানো হয়েছে। আর এ সবকিছুই হবে মিয়ানমারের আদলে।
এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়ে মানকাচারের পুলিশ সুপার অমৃতকুমার ভূঁইয়া বলেছে, সমাজে কতিপয় অশুভ চক্র সক্রিয় এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজবে কান না দেয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।