ভারতে ৫৮% তরুণ-তরুণী চান আত্মহত্যা করতে!

ভারতে আত্মহত্যা বাড়ছে

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: জামশেদপুর থেকে মুম্বাই এসে সফল হতে চেয়েছিলেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফল্যের স্বাদ পেলেও মায়ানগরীর টানাপোড়েন তাঁকে সুস্থ জীবন দিল না। শেষ পর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথই বেছে নেন হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ প্রত্যুষা।

শুধু প্রত্যুষা নন, মুম্বাইয়ের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর অবস্থা এখন একই। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা মুম্বাইকে দেশের সবচেয়ে আত্মহত্যাপ্রবণ শহর হিসেবে তুলে ধরছে। এখানকার যুব সমাজের ৫৮%-ই কখনও না কখনও আত্মহত্যার কথা ভেবেছে। আরব সাগরের তীরে এই শহরে জীবনযাত্রার অসহ্য চাপ, ইঁদুরদৌড়, ব্যর্থতার হতাশা মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। পথ বেছে নেন প্রত্যুষার মতোই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার। মুম্বাইয়ে যুব সমাজের মধ্যে এই আত্মহত্যার প্রবণতা রীতিমত উদ্বেগের স্তরে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

দেশের মেট্রো শহরগুলির ১৪ থেকে ২৪ বছরের ১,৯০০ তরণ-তরুণীর ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। আত্মহত্যার প্রবণতায় শীর্ষে রয়েছে মুম্বাই। দ্বিতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু। এখানকার ৫২% তরুণ-তরুণী আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেছেন। তৃতীয় স্থানে চেন্নাই। সেখানে এই সংখ্যাটা ৩২%। মুম্বইয়ের ৪২%, বেঙ্গালুরুর ৪০% এবং চেন্নাইয়ের ৪১% তরুণ-তরুণী জানিয়েছেন যে কখনও না কখনও তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ডিপ্রেশনের সময় নিজেকে ভুলিয়ে ড্রাগের আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের ২৮%, বেঙ্গালুরুর ৩৪% এবং চেন্নাইয়ের ২৫% তরুণ-তরুণী।

এখনই এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এই সমস্যা ভয়াবহ আকার নেবে বলে আশঙ্কা করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা বাবা-মার দায়িত্ব বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। পেশার চাপে বাবা-মা সন্তানের দিকে অনেক সময়ই ঠিকমতো মনযোগ দিতে পারেন না। তার ফল ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

খবর: এই সময়