ভারতের স্বর্ণ খনিতে ৩৩৫০ টন নয়, মাত্র ১৬০ কেজি সোনা

ভারতের স্বর্ণ খনিতে ৩৩৫০ টন নয়, মাত্র ১৬০ কেজি সোনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি জেলায় দুটি খনিতে ৩৩৫০ টন সোনা মজুতের সন্ধান পাওয়া গেছে-এমন সংবাদ ঘিরে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল তাতে পানি ঢেলে দিল আরেকটি সংবাদ। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (জিএসআই) জানাল, উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রে খনির সন্ধান পাওয়া গেছে ঠিকই, তবে তার পরিমাণ কিছুতেই ৩৩৫০ টন নয়; বড়জোর ১৬০ কেজি সোনা মজুত আছে সেখানে।

শনিবার বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জিএসআই। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূতত্ত্ব ও খনি দফতরের বরাত দিয়ে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর প্রদেশে দুটি স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে ভূতত্ত্ববিদরা। উত্তর প্রদেশের মাওবাদী উপদ্রুত সোনভদ্র জেলায় খনি দুটিতে ৩ হাজার ৩৫০ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হছে। স্বর্ণখনির এলাকা নির্ধারিত সাত সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে প্রদেশটির খনি বিভাগ।

সোনভদ্রে সোনার খনির খোঁজ মেলার ওই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশ জুড়ে হইহই শুরু হয়ে যায়। তবে তাদের বাঁধভাঙা উছ¡াসে পানি ঢেলে দেয় জিএসআইয়ের একটি বিবৃতি। শনিবার জিএসআই এক প্রেস বিবৃতিতে জানায়, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে সোনভদ্রের সোন পাহাড়ি ও হরদি এলাকায় ৩ হাজার ৩৫০ টন সোনা পাওয়া যেতে পারে এমন কথা বলা হছে। এই তথ্য জানিয়েছে উত্তর প্রদেশের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের রাজ্য কর্মকর্তা। জিএসআই কোনোভাবেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই তথ্য ও খবরের সঙ্গে জড়িত নয়। উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রে এই পরিমাণ বিপুল সোনা সঞ্চিত আছে কি না তা মূল্যায়ন করেনি জিএসআই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সোনভদ্রে খননকার্য চালিয়ে আকরিক সোনার সন্ধান মিলেছে ঠিকই। কিন্তু ওই অঞ্চল থেকে বড়জোর ১৬০ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সেই সোনার উত্তোলন ব্যবসায়িকভাবেও লাভজনক নয় মোটেই। সে কারণে সেখান থেকে ১ গ্রাম সোনাও তোলা হবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।