ভারতের নতুন বাণিজ্যিক ফাঁদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:  চীন থেকে সরাতে বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক ছক আঁকছে ভারত। ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় এই দৈনিকের দাবি, তারা জানতে পেরেছে- চীনের বাণিজ্য সুবিধার কারণে বাংলাদেশ দ্বৈত ঘাটতি (আমদানি-রফতানি) এবং ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে। এ কারণে ভারত স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ প্রবেশে বেশ কিছু সংযোগকারী উদ্যোগ সক্রিয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সংযোগ নিয়ে কাজ করে, এমন বিশেষজ্ঞরা ইকোনমিক টাইমসকে বলছে, সমুদ্রবন্দর, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন, রেল ও মহাসড়কে বড় ধরনের সংযোগকারী উদ্যোগ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভারতের পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের বাজারের সঙ্গেও বাংলাদেশকে যুক্ত করতে সক্ষম হবে। ১৯৬৫ সালের আগে ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে রেলের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব সংযোগ ছিল সেসব আবারও স্থাপন করার জন্য উভয় দেশই বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
ভারতীয় এই দৈনিক দাবি করেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশে ১৩ হাজার ৩৬৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে চীন। কিন্তু বাংলাদেশ চীনে রফতানি করেছে ৫৬৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশের মোট আমদানির এক চতুর্থাংশ আসে চীন থেকে এবং গত দুই দশকে চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৬ গুণ।

ইকোনমিক টাইমস দাবি করেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ ড্রেজিং এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত প্রকল্পে সহায়তা করে আসছে ভারত।