ভারতীয় পর্যটকদের আইডি কার্ড দেখবে নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা বলেছে যে, ভারত থেকে আসা সফরকারীদের কাছে তাদের আইডি কার্ড দেখতে চাইবে নেপাল। এক পার্লামেন্টারি প্যানেলকে তিনি বলেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও সফলভাবে মোকাবেলার জন্য নেপাল এই তথ্যকে ব্যবহার করবে।

পার্লামেন্টের স্টেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাণ্ড গুড গভর্নেন্স কমিটিকে মি থাপা বলেছে, “তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সরকার একটা সিস্টেম অনুসরণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, যাতে এটা একটা স্থায়ী রূপ পায়”। নেপালের একান্তিপুর জানিয়েছে যে, মন্ত্রী বলেছে কাঠমাণ্ডু পরিচয় পত্র এবং নিবন্ধনের বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে এবং রেকর্ড সংরক্ষণের প্রক্রিয়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেবে যাতে মানুষ ও মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করা যায়। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সম্প্রতি নেপালে কোভিড-১৯ এর বিস্তারের জন্য ভারতকে দায়ি করেছে।

ভারত আর নেপালের সীমান্ত পুরোপুরি উন্মুক্ত। উত্তরখান্ডের পিথোরাগড়ের কালাপানি এবং উত্তর প্রদেশ-বিহার অঞ্চলের সুস্তা বাদে বাকি সীমান্ত অঞ্চল চিহ্নিত করা রযেছে। মে মাসে কালাপানি এলাকা নিয়ে বিবাদ শুরুর পর থেকে সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র সেনাদের মোতায়েনের সংখ্যা বাড়িয়েছে নেপাল।

এই প্রক্রিয়া হবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা মাইলফলক। বর্তমানে বিরগঞ্জের মতো প্রধান বাণিজ্য পয়েন্টগুলোর সহায়তা নিয়ে দুই পক্ষই বাণিজ্যের বিষয়টি সমন্বয় করে থাকে। তবে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য আইডি কার্ডের সিদ্ধান্তটিকে ভারত থেকে নেপালে মানুষের গমনাগমনের উপর নেপালের বিধিনিষেধ আরোপের প্রক্রিয়া হিসেবে অনেকে দেখছে। এই ধরণের চলাফেরার মাধ্যমে যে বাণিজ্য হয়, সেখানে লাভবান হয় মূলত উত্তর প্রদেশ আর বিহারের ব্যবসায়ি কমিউনিটি।

জানা গেছে এমিনেন্ট পার্সনস গ্রুপ বর্তমানে খোলা সীমান্তের বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিয়েছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে এই গ্রুপটি গঠিত হয়। কিন্তু ভারত এখন পর্যন্ত ইপিজি’ রিপোর্টকে বিবেচনায় নেয়নি।

নেপাল আরও ঘোষণা দিয়েছে যে, ভারত থেকে নেপালের যে সব নাগরিক দেশে ফিরবে, শুধুমাত্র তাদের জন্য মাত্র ১০টি পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াতের পথ খোলা থাকবে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. যুবরাজ খাতিওয়াদা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালে আন্তর্জাতিক সফর বন্ধ রাখা হয়েছে।