ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জীবনরহস্য উন্মোচন করলেন বাকৃবির গবেষক দল

বিশ্বখ্যাত ছোট জাতের ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গলের জীবনরহস্য (জিনোম সিকোয়েন্সিং) উন্মোচন করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) একদল গবেষক এই সাফল্য পেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাফল্যের ঘোষণা দেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।

ড. এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার ছিলেন প্রধান গবেষক। গবেষক দলে আরো ছিলেন ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা, ড. মো. সামছুল আলম ভূঞা, ড. আব্দুল জলিল. ড. গৌতম কুমার দেব, মো. পনির চৌধুরী ও নূরে হাছিন দিশা। বাকৃবি ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই গবেষণায় অর্থায়ন করে।

প্রধান গবেষক ড. এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরাই প্রথম ব্ল্যাক বেঙ্গলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি। এতে ব্ল্যাক বেঙ্গলের খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক গঠন, চামড়া, প্রজননসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হলো। ভবিষ্যতে কেউ গবেষণা করতে চাইলে এই জিনোম সিকোয়েন্সিং অনেক কাজে লাগবে। ’

গবেষক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘বাংলাদেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের একটি পূর্ণাঙ্গ জিনোম রেফারেন্স তৈরি করেছি। এতে করে ডিএনএ আবিষ্কার ও মার্কারগুলোর মাধ্যমে ছাগলের ওজন বৃদ্ধির হার, দুধ উৎপাদন, বাচ্চা উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও মাংসের গঠনসংক্রান্ত জিন আবিষ্কার করা সহজ হবে।

ফলে সহজেই ছাগলের মোট জিনের সংখ্যা, গঠন ও কার্যাবলি নিরূপণ করা যাবে।