ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘর্ষ ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় সংঘর্ষের জেরে মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় সদর থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী-ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষ প্রায় চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ২০ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদকর্মীও রয়েছেন।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের টি এ রোডে জেলা পরিষদ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর বাক বিতণ্ডার জের ধরে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কয়েকশ’ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়ে ওই দোকানে হামলা চালায়। তখন ব্যবসায়ীরাও পাল্টা হামলা চালায়। এরপর ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা এ সংঘর্ষে জড়ায়।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় বড় মাদ্রাসার সামনে দু’দিকে অবস্থান নিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় কয়েক স্থানে টায়ার জ্বেলে আগুন ধরিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে শহরের প্রধান সড়কে সকল যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকশ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকশ’ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। রাত প্রায় ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানায়, সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গুরুতর অাহত কনস্টেবল রাজিব চন্দ্র দাশকে ঢাকায়  পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন, কনস্টেবল মো. সামদানি, মিজানুর রহমান, রাজিব মিয়াও আহত হয় বলেও জানায় ওসি।