ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৯১ হাজার ছাড়িয়ে

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: জিকা ভাইরাস হুমকি থেকে গুরুতর বিপজ্জনক অবস্থায় চলে গেছে। শুধু ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।

ভাইরাসটি নবজাতকদের মাইক্রেসেফ্যালিতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৩ জানুয়ারি থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে ব্রাজিলে ৯১ হাজার ৩৮৭ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত হয়েছেন, জিকা ভাইরাসই মাইক্রোসেফ্যালির জন্য দায়ী। এতে নবজাতকদের মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যেও গুইলাইন-ব্যারে সিনড্রোমের মতো স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে পক্ষাঘাত এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।

এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক বা চিকিৎসা বের হয়নি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চামড়ায় র‌্যাশ দেখা দেয় এবং জ্বর অথবা অস্থিতে ব্যথা হয়।

ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৮৪৪ জনই অন্তঃসত্ত্বা নারী। ব্রাজিলের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, এই ভাইরাসের কারণে দেশটির সরকার নারীদের আগামী দুই বছর গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এডিস মশা থেকে সাধারণত জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। এই ভাইরাস মানুষের শরীরে একবার প্রবেশ করলে প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর, হাতে পায়ের সংযোগস্থলে ব্যথাসহ নানা ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কিন্তু তা কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোফেলাসি তথা বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।