ব্রাজিলে জিকা প্রাদুর্ভাব : বিকৃত হয়ে জন্মাচ্ছে শিশু

ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আগের চেয়ে অনেক ব্যাপক আকারে। গর্ভবতী অবস্থায় যে সমস্ত নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সন্তান জন্মাচ্ছে শারীরিক বিকৃতি নিয়ে। ভাইরাস আক্রান্ত শিশুর মাথা অস্বাভাবিক ভাবে ছোট আকৃতির হচ্ছে।

সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা যায়, এ ধরনের বিকৃতি নিয়ে জন্মানো শিশুদের মাত্রা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসের থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮শ’ ৯৩টি শিশু মাইক্রোসেফালির (অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ) শিকার হয়েছেন। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে এর মাত্রা আরও বেড়েছে।

জিকা ভাইরাস ছড়ায় এয়েডেস এয়েজিপটি নামের একটি মশার কামড়ে। এই মশাটি একইসাথে ডেঙ্গু এবং চিকুংগানিয়া রোগের ভাইরাসও ছড়ায়। বর্তমানে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ভাইরাসে ইতিমধ্যে পাঁচ শিশু মারা গেছে। আরও ৪৪টি শিশুর মৃত্যু তদন্ত করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মারসেলো ক্যাস্ট্রো বলেছেন, এই মশার মাধ্যমে ছড়ানো তিনটি রোগকেই দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নতুন পরীক্ষা যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধকের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্ধের কথাও বলেন।

তাছাড়া ল্যাটিন আমেরিকার কয়েকটি দেশেও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। কলোম্বিয়ায় এই ভাইরাসে ১৩ হাজার ৫শ’ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে ভ্রমণরত মানুষদের উপরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।