ব্যাটবিসি শেয়ারের দাম একদিনে বেড়েছে দেড় হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বড় লভ্যাংশ এবং অনুমোদিত মূলধন বাড়িয়ে সাত গুণ করার ঘোষণা আসায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (ব্যাটবিসি) শেয়ারের দাম একদিনে বেড়েছে দেড় হাজার টাকা।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে লভ্যাংশ হিসেবে ব্যাটবিসির ৫০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ কোটি টাকা করার ঘোষণা আসে। এতে লেনদেনের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম এক লাফে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় উঠে যায়।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন মাস ধরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার দাম টানা বেড়েছে। তবে তিন মাসে কোম্পানির শেয়ার দাম যা বেড়েছে শুধু মঙ্গলবারই বেড়েছে তার থেকে তিনগুণ বেশি।

গত ১৩ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছিল ৩ হাজার ৩৯৮ টাকা ৫০ পয়সা, যা টানা বেড়ে সোমবার লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ে ৫৫১ টাকা।

তবে বড় লভ্যাংশ ও অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা আসায় ডিএসইতে মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ৫ হাজার ১০০ টাকায়। এরপর তা আরও বেড়ে এক পর্যায়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকায় ওঠে। অর্থাৎ এক লাফে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ে ১ হাজার ৫৫১ টাকা।

লেনদেনের শেষ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার দামের এ উল্লম্ফন না টিকলেও আগের দিনের তুলনায় শেয়ার দাম ১৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। লেনদেন শেষে মূল্য বিবেচনায় নিলেও একদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৬৫০ টাকা।

ডিএসইর পাশাপাশি অপর বাজার সিএসইতেও ব্যাটবিসির শেয়ারের মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। মঙ্গলবার বাজারটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে। দিনের লেনদেন শেষে শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬১৫ টাকা ৯০ পয়সায়। লেনদেনের শুরুতে শেয়ারের দাম ছিল ৪ হাজার ৪২ টাকা ৫০ পয়সা।

শেয়ার দামের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনেও দাপট দেখিয়েছে ব্যাটবিসি। মূলত এ কোম্পানিটির ওপর ভর করেই পতনের বাজারেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে ব্যাটবিসির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৩৬ লখ টাকা। তবে সিএসইতে লেনদেন তুলনামূলক কম হয়েছে। বাজারটিতে ব্যাটবিসির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) কোম্পাটির প্রায় ৬ লাখ শেয়ার নতুন করে কিনেছে বিদেশিরা। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে।

দামের দিক থেকে শেয়ারবাজারের সব থেকে দামি এ কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি। এর মধ্যে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতেই রয়েছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে মাত্র দশমিক ৬৮ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং সরকারের কাছে দশমিক ৬৪ শতাংশ।