বোর্ডের সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছে না বিমান বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক: অনিয়ম ঠেকাতে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত এক মাস অটোমেশন বা রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (আরএমএস) টিকিট বিক্রি চলছে। এ পদ্ধতি প্রত্যাবর্তনের পর বিমানের যাত্রী বাড়ছে, বাড়ছে সুনামও।

এরই মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল সংস্থার রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপক নিয়ম ভঙ্গ করে সাত জনকে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রির অনুমতি দেন। বিষয়টিকে বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধী বলে মনে করছেন অনেকে।
সাত জনের মধ্যে রয়েছেন- অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কমার্শিয়াল এমএ কাসেম (পি নম্বর- ৩৪২২৮) ও শাহনাজ বেগম (পি নম্বর- ৩৪৫৯৮), কমার্শিয়াল অফিসার হামিদুর (পি নম্বর- ৩৪৪৪৬), মোস্তাফিজুর রহমান (পি নম্বর- ৩৪৮০৩) ও গোলাম মোস্তফা (পি নম্বর- ৩৪৮০৮), জুনিয়র কমার্শিয়াল অফিসার কাজী ওমর ফারুক (পি নম্বর- ৩৪৮৩৩) ও তাবিবুর রহমান (পি নম্বর- ৩৪৯০১)। ১৮ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি করছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল প্রকারের ম্যানুয়াল টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই। তবে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অবশ্যই আবারও বোর্ড সভার অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

কিন্তু বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা চিন্তা না করে কী কারণে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রির অনুমোদন দেয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাব জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ব্রুনাই রয়েছেন বলে জানান।

মার্কেটিংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর মাহবুব জাহানকে ফোন দেয়া হলে, তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে ফোন করবেন বলে জানান। পরে ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত না থাকলেও হাইয়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা করা হয়েছে, তা বিমানের স্বার্থেই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।