বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকছে জামায়াতে ইসলাম?

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে জামায়াতে ইসলাম থাকছে কি না এ নিয়ে সর্বমহলে আগ্রহ তৈরি হলেও বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি নেতারা।জোটের নেতারা বিভিন্ন সময় বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বললেও জামায়াত ছাড়া নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি।নেতারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে কোন ঐক্য হবে না এমনটা বললেও রোববার আ স ম রবের মন্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফের বাসভবনে বিএনপি,যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে আ স ম রব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দলের সঙ্গে ঐক্য হবে। ঐক্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে, বিএনপির সঙ্গে আলাদাভাবে কারা থাকছে, তা তাদের বিবেচনার বিষয় নয়।’
বিএনপির সাথে জামায়াতে ইসলাম জোটবদ্ধ,বিএনপি জামায়াতকে এখনও ছাড়ে নে।জামায়াত সহ বিএনপির সাথে জোটে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে জামায়াতসহ বৃহত্তর ঐক্য গঠন।সাধারণ মানুষের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বাধীনতার বিরোধীদের জোটে নেওয়া হবে না বলে আবার জামায়াত সহ বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হওয়াটা জনগণের সাথে প্রহসন।
জামায়াত প্রসঙ্গ ছাড়াও বৈঠকে তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাঁচ দফা দাবি প্রসঙ্গে আ স ম রব বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাও দাবির মধ্যে আছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী, কোটার দাবিতে আন্দোলনকারী, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতের বিষয়ে বিকল্পধারার আপত্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিকল্পধারার মহাসচিব ছাড়াও যুক্তফ্রন্টের নেতারা বৈঠকে ছিলেন, সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।