বিদ্যুতের দাম বাড়লে গণআন্দোলন -নাগরিক সমাজ

বিদ্যুতের দাম বাড়লে গণআন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলেতে কোনো ধরনের ঘাটতি বা লোকসান নেই। শুধু পিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ের ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য নতুন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। অতিসত্বর এ প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের নেতারা। দাবি মানা না হলে গণআন্দোলনের কথা জানিয়েছেন তারা।

শনিবার রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়।

সভায় সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার আগে তার প্রভাব নিয়ে বিইআরসির পক্ষ থেকে জনমত সংগ্রহের কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। শুধু লোক দেখানো গণশুনানির আয়োজন করা হলেও সরকারের পক্ষে তারা কাজ করছে। এ কারণে বিশ্ববাজারে কয়েক দফা জ্বালানি তেলের মূল্য কমলেও বাংলাদেশে কমানো হয়নি।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কোনো প্রয়োজন পড়েনি। এ খাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধ করতে হবে। সেটি না করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, এ প্রস্তাব অনৈতিক, অন্যায়। দ্রুত এটি বাতিলের দাবি জানান তিনি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, সরকার নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে দলীয় লোকের পকেট ভারী করছে। বিভিন্নভাবে জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি করছে। বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে। মুখে নানা কথা বললেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিকার মিলছে না।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ২০ হাজার টন বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হলেও ৮-১০ টন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা শিল্প-কারখানার চাহিদা মেটাতে পারছে ন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল পাওয়ার তৈরি করে সেখানে বিপুল অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। সেগুলো বন্ধের কথা বলেও সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। অথচ নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।

জোনয়েদ সাকী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না বলে তার তাদের কথা ভাবেন না। নিজেদের দাপট দেখিয়ে একশ্রেণির মানুষের সুবিধার কথা ভাবছে। এতে প্রতিনিয়ত মানুষ ফুঁসে উঠছে। মানুষের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, যে কোনো সময় সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হবে।