বিদেশ পলাতক শীর্ষ ৫ যুদ্ধাপরাধীকে দেশে আন ার চেষ্টা অব্যাহত আছে : খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকারসহ শীর্ষ ৫ যুদ্ধাপরাধী বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। জানা গেছে, মালানা আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ভারতে পালিয়ে যায়। ভারত থেকে সে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছে। চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ কয়েকটি অপরাধে টুইব্যুনাল ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মৃত্যুদন্ড দেয়। তারা অনেক আগেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়। বিদেশে থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এই দুজন। এদের ফেরত আনার ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। কিন্তু বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের হাসেন আলী ওরফে হাসান ও ফরিদপুরের জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকারও বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এই দুজনই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামি। ২০১৫ সালের ৯ জুন হাসেন আলী ও ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর খোকন রাজাকারের বিরদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তদন্তের সময়ই তারা পালিয়ে যায়। ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বারকে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে পাঁচটি অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। কারাদন্ডের বোঝা মাথায় নিয়েই তিনি পলাতক রয়েছে। এখন সে কোথায় আছে কেউ জানে না। এদিকে তার ফাঁসি চেয়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেছে।

এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামীদের ফেরতর আনার ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাত আছে। আইনগত জটিলতার কারনে সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে ভবিষ্যতেও যে তাদের ফেরত আনান যাবেনা তা কিন্তু নয়। কারন সরকার বসে নেই। তিনি আরো বলেন, দেশেই হোক আর বিদেশে বসে হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার অপচেষ্টা সফল হবেনা। কারন ইতিপূর্বে জামাত-বিএনপি জোট সম্মিলিতভাবে বিচার বানচালে চেষ্টা করছে। কিন্ত সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় সকল অপশক্তির অপতৎরতা ও তাদের মিশন ভেস্তে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করার জন্য গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রথম দিকে শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে তদন্ত শুরু হয়। কুখ্যাতদের মধ্যে জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা গো’আযম, আলী আহসান মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী ওরফে মইত্যা রাজাকার, মালানা আবদুস সুবহান, বাংলার ইহুদীখ্যাত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী, চৌধুরী মঈনুদ্দীন, আশরাফুজ্জামান খান, আবুল কালাম আযাদ, মীর কাশেম আলী প্রমুখের বিচার প্রথম দিকে শুরু হয়। ইতিমধ্যে এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে অধিকাংশের দন্ডও কার্যকর করা হয়েছে।