বিএনপি-জামায়াত গুপ্তহত্যা শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪, গোপালগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গির্জা পুড়িয়েছে। পুরোহিত ও শিক্ষকদের হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। এভাবে সরকার উৎখাত করা যায় না। এখন আবার তারা দেশে গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যা চালাচ্ছে।’

শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমার একটি মাত্র চাওয়া হলো বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত ও নিরাপদ জীবন দেওয়া। তাদের শিক্ষা, খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তাই সারা দেশের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করি। জামায়াত-বিএনপির মতো বিশেষ কোনো এলাকার উন্নয়নে বিশ্বাস করি না। তাই আমরা শুধু গোপালগঞ্জ নয়, সারা দেশে সুষম উন্নয়নমূলক কাজ করছি।

স্বাস্থ্যখাতে তার সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখাতে উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আরো তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ করছি। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি দিয়েছিলাম, সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এখন এমন সময় এসেছে যেখানে নার্সরাও পিএইচডি করতে পারবেন, আমরা সে সুযোগ করে দিয়েছি।
‘বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়-জেলায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। উচ্চ শিক্ষাপর্যন্ত মেধাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি ১ কোটি ৭০ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে। আজকে বই-খাতা কিনতে হয় না, আমরা সবই দিচ্ছি। দেশে এখন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য নিরাপত্তা হয়েছে। মানুষের চাহিদা বদলে গেছে কারণ পেটে খাবার আছে। এখন মানুষ বিদ্যুৎ চায়, স্কুল চায়- আমরা তা করছি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় গোপালগঞ্জবাসী বৈরিতার শিকার ছিল। অবহেলিত ছিল। সেটি হয়েছিল একটি বিশেষ কারণে। সে সময় বাজেটে টাকা দেওয়া হতো, তবে কাজ হতো না, উন্নয়ন হতো না। এক সময় এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, জাহিদ মালেক, ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, হাসানুল হক ইনু, মুজিবুল হক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শেখ মো. আব্দুল্লাহ, উম্মে রাজিয়া কাজল প্রমুখ।

এর আগে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।