বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সাফল্য

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সাফল্য

নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরী হরিনমারী গ্রামের বাসিন্দা শামছুজ্জোহা মামুন। তিনি বাংলাদেশ পলিটেকনিক সায়েন্স থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে বেকার জীবনযাপন করছিলেন। বর্তমানে চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এলাকায় বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন।

সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে শামছুজ্জোহা মামুন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন। এছাড়া বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি, পোনা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।

শামছুজ্জোহা মামুন জানান, বাংলাদেশের তরুণ মৎস্য চাষিদের মধ্যে অনেকেই নতুন এক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, যার নাম বায়োফ্লক, যা দেশে মাছের উৎপাদন অতি দ্রুত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও মাছ চাষের এ পদ্ধতিটি বাংলাদেশে এসেছে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে যেখানে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অল্প জায়গায় বিপুল পরিমাণ মাছ চাষ করা হয়। তিনি আরও জানান, যে প্রচলিত পদ্ধতিতে মাছ চাষের চেয়ে এ পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সুচারুরূপে দেখতে হয়। আমি প্রায় সাতটি ট্যাংকে শিং, কই, মাগুর, পাবদাসহ বেশ কয়েক ধরনের মাছ চাষ করেছি।

মৎস্য গবেষকদের মতে, বায়োফ্লক এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে জৈব বর্জ্যরে পুষ্টি থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য খাবার তৈরি করা হয়। অর্থাৎ যে ব্যাকটেরিয়া ও শৈবাল তৈরি হয়, তা পানিতে উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেন গঠিত জৈব বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি হতে না দিয়ে নিজেদের বংশ বাড়ায় এবং এটিকেই ফ্লক বলে।

এসব ফ্লকে প্রচুর উপাদান থাকে, যা মাছের পুষ্টির জোগান দেয়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রোবায়োটিক কালচারের মাধ্যমে ফ্লক তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষিতদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দেখানোর পথ অনুসরণ করেই আমি উদ্যোক্তা হয়েছি। নিজ উদ্যোগে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ মাছ চাষে আগ্রহী করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করছি বলেন শামছুজ্জোহা মামুন। ওয়েবসাইট