বায়ুদূষণ রোধে গঠিত কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আদেশ আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাতাস কি কারণে দূষিত হচ্ছে এবং বায়ুদূষণ রোধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও অগ্রগতি নিয়ে আবারও শুনানি হয়েছে। এ বিষয়ে আরও শুনানি করবেন এবং প্রয়োজনীয় আদেশ দিবেন হাইকোর্ট। তাই মামলাটি শুনানির জন্যে কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে কি কারণে রাজধানীর বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং বায়ু দূষণ রোধে কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করতে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজধানীর রাস্তা ও ফুটপাতে ধুলাবালি, ময়লা ও বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কমিটিতে দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ওয়াসা, ডেসকোসহ সকল পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধি, প্রয়োজন হলে একজন বিশেষজ্ঞ রাখতে বলা হয়েছিল। এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ঢাকার সকল রাস্তা, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারে জমে থাকা ময়লা, ধুলাবালি অপসারণের নির্দেশের পাশাপাশি দিনে কমপক্ষে দুইবার পানি ছিটাতে নির্দেশ দেয়া হয়। রাস্তার পাশে থাকা গাছ ও ভবনের দেয়ালেও পানি ছিটাতে বলা হয়েছিল।
জনস্বার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানির পর ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই সময় রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।
এছাড়া পরবর্তী আদেশের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠন ও রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দূষণ রোধের ব্যাপারে সুপারিশ ও নীতিমালা করে কাজ করছিলেন। এখন রাজধানীসহ আশে পাশে বায়ুদূষণ হচ্ছে তাই আবারও এসব কার্যক্রমের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আদেশ দেয়া হবে।
আদেশের পর ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে, সেসব এলাকা ঘেরাও করে দিনে দুবার পানি ছিটাতো দুই সিটি কর্পোরেশন।