বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে চায় ইরান

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে চায় ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি করতে চায় ইরান। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর এ আগ্রহের কথা জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, এগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, জলবায়ু অভিঘাতসহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা, বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সে জন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বারোপ করছে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইরানে আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি রফতানি এবং ইরান থেকে গম ও পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহের কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।

এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে চা, পাট, আম, মসলাসহ বিভিন্ন ফুড আইটেম ও শাকসবজি নেয়া এবং বাংলাদেশে খেজুর, গম, পেঁয়াজ, কিশমিশ প্রভৃতি রফতানির আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, ইরানে তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকারের যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে, যা খুবই প্রশংসনীয়।

রেজা নফর আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের কৃষিসহ অনেক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া দুই দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদেরও পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য খাত চিহ্নিতকরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।