বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতি দিল্লির বৈষম্যমূলক নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ভারতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়া দিল্লির বৈষম্যমূলক নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশী নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে ভারত দীর্ঘ সময় ধরে বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত শ্রেণিতে রেখেছে। বলা হয়েছে, তারা কেবল সরকারি শ্রেণিতে বিনিয়োগ করতে পারবে।

এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বিনিয়োগ অনুমোদনের জন্য ভারত সরকারের পূর্ব অনুমতির প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানি নাগরিক ও সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধারা প্রযোজ্য। অথচ অন্যান্য দেশকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে বিনিয়োগ করার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

নয়া দিল্লিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের সভায় ঢাকার কর্মকর্তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরে জানান যে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতে বিনিয়োগ করতে দেয়া হচ্ছে না। আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে একই শ্রেণিকে কেন রাখা হয়েছে তারও প্রতিবাদ জানান তারা। বৈঠকে ঢাকার কর্মকর্তারা এই ব্যবস্থা অবসানের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। এর জবাবে ভারতীয় পক্ষ জানায়, তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবে।

বৈঠকে উপস্থিত এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানায়, ভারত কিছু নির্দিষ্ট দেশের জন্য ওই নীতিটি প্রণয়ন করেছিল এবং বাংলাদেশ এর শিকার হয়েছে। ভারত দাবি করে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপ্রতীম এবং তা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কিন্তু বৈষম্যমূলক নীতি বলে ভিন্ন কথা।