‘বছরের শুরুতে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে’

ফের দূষিত বাতাসের শীর্ষে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি বছর নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়িওয়ালাদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসছে নতুন বছর ঘিরে রাজধানী ঢাকায় বাড়ি ও দোকান ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ জানায় সংগঠনটি।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, বছরের প্রথম মাস এলেই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বছরে একাধিকবার বাড়ি ভাড়া বাড়ানো হয়। ভাড়াটিয়ারা বাধ্য হয়েই তা মেনে নিচ্ছে।

বাহার বলেন, বাড়ির রক্ষুাবেক্ষু ব্যয়, সার্ভিস চার্জ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল বৃদ্ধি, জেনারেটরের তেলের দাম বৃদ্ধি, বুয়া ও দারোয়ানের বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাড়িওয়ালারা ভাড়া বৃদ্ধি করেন। এছাড়া বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ অগ্রিম মোটা অঙ্কের টাকাও নেওয়া হয়।

এতো কিছু মেনে নিয়েও যখন একজন ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া নেন তারপর শুরু হয় অন্য অত্যাচার। রাত ১১টার মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে, ছাদে ওঠা যাবে না, বেশি মেহমান আসতে পারবে না, আসলেও বেশি দিন থাকতে পারবে না, সময় মতো পানি না দেওয়া, ভাড়া দিতে দেরি হলে জনসমক্ষে অপমান করা, ভাড়ার রশিদ না দেওয়া, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে ভাড়াটিয়াদের হেনস্থা করা হয়।

একজন নাগরিকের আয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই বাড়ি ভাড়ার পেছনে ব্যয় হয় উল্লেখ করে বাহার বলেন, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ, চিকিৎসা ব্যয়সহ বিভিন্ন খরচের জাতাকলে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এসব নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।