বগুড়ায় কুরবানীর হাট বন্ধ করায় ডিসিকে আইনি নোটিশ

বগুড়ায় কুরবানীর হাট বন্ধ করায় ডিসিকে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া পৌরসভার কালিতলা হাটে পবিত্র কুরবানীর হাট বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়ায় বগুড়া জেলার ডিসি জিয়াউল হককে রোববার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সত্বর এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে হাট বসানোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বগুড়ার বিশিষ্ট নাগরিক মুহম্মদ কামরুল বাসার কমল এবং মুহম্মদ আব্দুর রউফ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান এই নোটিশটি প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা এবং পশু কুরবানী একটি দ্বীনি ইবাদাত। কুরবানীর পশুর হাট, পশু কেনা-বেচা, পশু কুরবানী ইত্যাদি কাজ সারতে সারা বছরে মাত্র ৩/৪ দিন লাগে। পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট প্রকৃতপক্ষে বগুড়া শহরবাসীর নাগালের মধ্যেই বসাতে হবে। সহজভাবে পশু কিনতে পারা বগুড়া শহরের মুসলিমদের একটি নাগরিক অধিকার। অথচ বগুড়া পৌর এলাকার মধ্যকার একমাত্র পশুর হাটটি এই বছর না বসানোর নির্দেশ দেয়ার ফলে বগুড়া শহরের মুসলিমগণ এই বছর পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু কিনতে গিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হবেন। এই নির্দেশের ফলে বগুড়া শহরের মুসলিমদেরকে শহরের বাইরে গিয়ে পশু কিনতে হবে এবং সেই পশু শহরের বাসায় নিয়ে আসার জন্যও বাড়তি খরচ, শ্রম ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হবে।

নোটিশে আরও বল হয়, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বগুড়া শহরের মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। অথচ ডিসির এই নির্দেশনা বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছে। যা পবিত্র দ্বীনি অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত।

এমতাবস্থায় এই নোটিশ পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে বগুড়ার কালিতলা হাটে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাট না বসানোর জন্য নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।