ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়ছে এলএনজি সরবরাহ

ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়ছে এলএনজি সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লিকুফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হচ্ছে তিনটি পাইপলাইন নির্মাণকাজ। নতুন তিনটি ও আগের দুটি মিলিয়ে মোট ৫টি পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আসবে। এখন সর্বোচ্চ ৫৬০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আনা হচ্ছে। এর ফলে এলএনজি সরবরাহ বাড়ছে।

এ বিষয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বলেন, মোট তিনটি লাইন হচ্ছে। মহেশখালী-আনোয়ারা প্যারালাল লাইন, আরেকটি চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ এবং জিরো পয়েন্ট থেকে মহেশখালী সিটি এমএস সাত কিলোমিটার পাইপলাইন। এই তিনটি লাইনের কাজ শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

প্রতিদিন একটি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি টার্মিনালের ভাড়া দিতে হয় এক লাখ ৫৯ হাজার ডলার। এরসঙ্গে পরিচালন এবং সংরক্ষণ ব্যয় রয়েছে দৈনিক ৪৫ হাজার ৮১৪ ডলার। আর পোর্ট চার্জ বা বন্দরের ব্যয় রয়েছে প্রতিদিন ৩২ হাজার ডলার। এসব হিসাব যোগ করলে একটি এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহার হোক বা না হোক, এর পেছনে দৈনিক খরচ হয় দুই লাখ ৩৭ হাজার ডলার। এলএনজি সরবরাহ নেওয়া হোক বা না হোক, এই পরিমাণ ব্যয় করতেই হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে পুরোদমে এলএনজি এলে ব্যয়ের বিষয়টি যৌক্তিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জিটিসিএল সূত্র জানায়, মহেশখালীর জিরো পয়েন্ট (কলাদিয়াচর, সমুদ্র থেকে উঠে যেখানে পাইপলাইন যুক্ত হয়েছে) থেকে সিটি এমএস (ধলঘাট পাড়ায় অবস্থিত মিটারিং স্টেশন) পাইপলাইনটি হচ্ছে ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের ৭ কিলোমিটার লম্বা। এই পাইপলাইনটি যুক্ত হবে মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত তৈরি হতে থাকা পাইপলাইনের সঙ্গে। পরের পাইপলাইনটি হবে ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের ৭৯ কিলোমিটার। অন্যদিকে, ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১৮১ কিলোমিটার আরও একটি পাইপলাইন করছে জিটিসিএল। এটি হবে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে কুমিল্লার বাখরাবাদ পর্যন্ত। এই লাইনটি হবে বর্তমানে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের বাখরাবাদ থেকে চট্টগ্রাম পাইপলাইনের সমান্তরাল।