ফুলকপি চাষে সফল দক্ষিণ চট্টগ্রামের কৃষকরা

ফুলকপি চাষে সফল দক্ষিণ চট্টগ্রামের কৃষকরা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষক সমাজের অবদান খুব বেশি। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় বরাবরই। এক দক্ষিণ চট্টগ্রাম দুই উত্তর চট্টগ্রাম। বৃহত্তর এ চট্টগ্রামের দক্ষিন অংশে বিভিন্ন সবজি চাষের মধ্যে ফুলকপি চাষ অন্যতম। নানান ধরনের পেশায় জড়িত থাকলে এ অঞ্চলের পটিয়া এবং চন্দনাইশ উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এ ফুলকপি চাষের সাথে সরাসরি জড়িত।

সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়ার কেলিশহর, হাইদগাও, জিরি, ধলঘাট, ভূর্ষি এলাকা চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী, খানমোহনা, বাগিছাহাট, রৌশনহাট এলাকার প্রায় একশ কৃষক এ ফুলকপি চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে যুগ ধরে। এসব চাষীরা আধুনিক কৃষিকে কাজে লাগিয়ে অধিক ফলন করার ফলে প্রতি বছর আয়ের মাত্রা বাড়াতে খুব খুশি মনে চাষাবাদ করে।

পটিয়ার কেলিশহর এর কৃষক আবুল হাসেম জানায়, এক সময় মধ্যপ্রাচ্য গিয়ে অবৈধ হওয়ার কারণে প্রায় এক বছর জেলে থাকার পর দেশে এসে কোন উপায় না দেখে নিজেদের এক বিঘা জায়গার উপর ফুলকপি চাষ শুর” করে ২০১৫ সালে। প্রথম বছরেই আবুল হাসেম চল্লিশ হাজার টাকা লাভ করে। এতে ফুলকপি চাষের প্রতি আরও মনোযোগ বেড়ে যায়। সে আরও তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তার চাষের পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলে। সে থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আবুল হাসেমকে। তিন মেয়ে এক ছেলের লেখাপড়া খরচ যোগাতে এখন তার আর হিমসিম খেতে হয়না। আবুল হাসেমের মত একই কথা জানান চন্দনাইশের কুতুবউদ্দিন তিনি বলেন কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে ২০১৭ সালে তার দোহাজারির চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে সে এখন স্বাবলম্বি।

কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, সরকার কৃষকদের বাচাতে এবং দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা এবং পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশেষ কৃষিকে আধুনিক করে তুলেছে। আধুনিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি দেশের রাজস্ব খাতে অনেক অবদান রাখছে এ কৃষি।