ফারাক্কা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান ত ুলে ধরার এখনি সময়

Image result for ফারাক্কার সব গেট

ঢাকা: ভারতের বিহার রাজ্যে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধ তুলে নেয়া নিয়ে দেশটির সরকারের সাথে দুই রাজ্যের টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় পানি বিশেষজ্ঞ ও কূটনীতিকরা বলছেন, ফারাক্কা ব্যারেজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার এখনি মোক্ষম সময়।

শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রেখে হুগলি নদী দিয়ে কলকাতা বন্দরের নাব্য সঙ্কট মেটায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা ব্যারেজ। তবে এক দিকে পলি জমা অন্যদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশের বন্যা সৃষ্টি হয় প্রতি বছর। তাই বন্যার স্থায়ী সমাধানে ফারাক্কা ব্যারেজ পুরোপুরি সরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।

পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ম. ইনামুল হক বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের ব্যবহার নিয়ে ভারতের দু’রাজ্যে যে টানাপড়েনশুরু হয়েছে সেটা আমাদের জন্য সুবিদাজনক অবস্থান। নদীর যে প্রবাহ সেটাকে কোনো বাধা দেয়া ঠিক না। নদীতে বাঁধ বা ব্যারেজ আসুক তা আমরা চাই না।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির বলেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে যাই করুক। বাংলাদেশ গঙ্গানদীর একই অববাহিকায় নিম্ন অঞ্চলের দেশ হওয়াতে ভারত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাংলাদেশর সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন এক বিতর্কিত তথ্য দিয়ে ভারতের দালালি করে বলেছে, বিহারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফারাক্কা বাঁধের গেট দিয়ে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হলেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বাংলাদেশে।

কিন্তু ফারাক্কা ব্যারেজ সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে ৪২ লাখ ৫৩ হাজার কিউসেক বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে ফারাক্কা লক গেটের আপস্ট্রিমে পানির লেভেল রয়েছে ৭৮ দশমিক ৫ ফুট ও ডাউন স্ট্রিমে রয়েছে ৭৭.৯৯ ফুট।