প্রবাসীরা দেশে চলে আসায় কমেছে রেমিটেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন মাস রেমিটেন্স কম এসেছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল বলেছেন, রেমিটেন্স দেশে কেন কম এসেছে এখনও বলার সময় আসেনি। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে এসেছেন।

কিন্তু লকডাউন ও বিধিনিষেধসহ নানা কারণে তারা ঠিকমতো ফিরে যেতে পারেননি বলেই রেমিটেন্স কম এসেছে।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যিয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখন প্রবাসীরা বিদেশে যাচ্ছে। সরকার এই বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। ২০২০ সালে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। আশা করছি বছর শেষে ২২ থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসবে। ’

টাকার বিদেশ হয়ে দেশে ফেরার ধারণা ঠিক নয়:

রেমিটেন্সে প্রণোদনার সুযোগ নিতে টাকা বিদেশে পাচারের যে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা নাকচ করে দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সিপিডির এই ধরনের সন্দেহের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা কোনো সঠিক প্রস্তাব বলে আমার মনে হচ্ছে না। আমার মনে হয় এধরনের কথাবার্তা ঠিক না।

অন্য কোনো টাকা রেমিটেন্সের নামে দেশে ঢুকছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছিল গবেষণা সংস্থা সিপিডি।

বাংলাদেশের বিদেশি অর্থ উপার্জনের বড় খাত প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই অর্থ বৈধভাবে পাঠানো উৎসাহিত করতে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
অর্থাৎ প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে সরকার আরও ২ টাকা যোগ হয়ে মোট ১০২ টাকা দিচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ বলে প্রণোদনা পাওয়ার জন্য দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে আবার নিয়ে আসা হয়।

“আমি বার বার একটা কথা বোঝাবার চেষ্টা করেছি, দেশে তো বহু খাত আছে, যাদের আমরা ইনসেনটিভ দিয়ে থাকি। মাছ, সবজিতে আমরা ইনসেনটিভ দিই, তাহলে শুধু রেমিটেন্স খাতকে তারা টার্গেট করবে কেন?

সন্দেহ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুস্তফা কামাল বলেন, যে পরিমাণ জনবল আমাদের বিদেশে আছে, সেই অনুপাতে টাকা আসছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এর চেয়ে বেশি আসলে তখন বুঝতে হবে যে এখানে অন্য কিছু হচ্ছে।