‘আমাকে মারধরের বিচার চাইনা, আল্লাহকে গালি দিয়েছে- আমি তার বিচার চাই’

নিউজ নাইন২৪, না.গঞ্জ: বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ জনতার ফাঁসির দাবির পর এবার নির্যাতিত সেই ছাত্র রিফাত হাসানও শাস্তির দাবি করলো।

শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত আয়োজিত শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে ‘নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা’ এর সমাবেশে এই দাবি করে রিফাত।

জনসম্মুখে রিফাত জানায়, ‘আমাকে মারধর করেছে সেটার বিচার চাই না, আল্লাহকে গালি দিয়েছে- আমি তার বিচার চাই। প্রধান শিক্ষক আমাকে মারধর করছে কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী এর বিচার করে নাই।’

রিফাত আরও জানায়, ‘হেড স্যার ক্লাসে ছেলেমেয়েদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে বলেন- তুইও নাপাক তোর আল্লাহও নাপাক। পরে হেড স্যার আমাকে মারধর করেন। আমি ব্যথা পাওয়ায় আল্লাহ আল্লাহ বলতে থাকলে হেড স্যার বলেন- আল্লাহ বলতে কিছু নাই।’

জুমার নামাজের খুতবাতে খতিব ও জেলা হেফাজতের আমির আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের একটি টিম শুরু থেকে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রকৃত ঘটনা বের করতেই আমরা তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থল বন্দরের কল্যান্দীতে আমাদের টিম যায়। সেখানে তারা প্রকৃত সত্য বের করার চেষ্টা করে এবং আরও লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সবশেষ বৃহস্পতিবার আমরা ৪০-৫০ জন ইমাম ও আলেম দ্বীনেরা মসজিদে রিফাতকে ডেকে আনি। সে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানায়- ওই শিক্ষক নাকি আল্লাহকে কটূক্তি করে বলেছেন ‘তুইও নাপাক তোর আল্লাহও নাপাক’।

শ্যামল কান্তির ফাঁসির দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

মাওলানা আবদুল আউয়াল আরও বলেন, ‘আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি শিক্ষক শ্যামল কান্তির শাস্তি, শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ ও শিক্ষক পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।

এদিকে জুমার নামাজের পর থেকেই শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে থাকে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল সোয়া ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা হেফাজতের সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল কাদির, জেলার সমন্বয়ক ফেরদাউসুর রহমান, ওলামা পরিষদের আহবায়ক মুফতি আবুল হাশেম, মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী, মুফতি দেলোয়ার হোসেন,মুফতি হারুন অর রশিদ, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আনিস আনসারী, মাওলানা আব্দুল লতিফ।