প্রতিবন্ধী অটোরিকশা চালকদের আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে আমাদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিন। আমরা সব কাজ চাইলেও করতে পারি না। অটোরিকশা চালাইয়া পরিবার-পরিজন লইয়া বাঁইচ্যা থাকি। আমরা ভিক্ষা করতে বা কারও করুণার পাত্র হইয়া বাঁচতে চাই না। কাজ করে বাঁচতে চাই।’ এ আকুতি শোনা গেল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা কবির হোসেন নামে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর কণ্ঠে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে কথা বলছিলেন তিনি।

কবির জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টেসৃষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ব্যাটারিচালিত রিকশা আর চালাতে পারছেন না তিনি। সেজন্য অচল হয়ে পড়ছে তার সংসারের চাকা।

ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সরকারের তৎপরতার কারণে বিপাকে পড়া এমন আরও কয়েকশ শারীরিক প্রতিবন্ধী মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের কারও হাত নেই, কারও পা নেই। শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা কেউ হুইল চেয়ারে কেউ ক্র্যাচে ভর করে আবার কেউবা রিকশা কিংবা ভ্যানগাড়িতে চড়ে এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। ‘ভিক্ষা চাই না, কর্ম চাই,’, নবীজীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা’, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ চাই’, প্রতিবন্ধীর অটোরিকশা চলছে, চলবে’ স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা কর্মসূচি পালন করেন।

তাদের কয়েকজন জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাঁচ শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশেষ বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানোর অনুমতি চান। এজন্য তারা সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কর্মসূচিতে তারা বলেন, আর দশটা মানুষের মতো আমরা স্বাভাবিক সব কাজ করতে পারি না। এক্ষেত্রে আমরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি পেলে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ সবাই দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবো। তারা বারবার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি মুখের কথায় আমাদের সবার সংসার সচল থাকতে পারে। আমাদের দিকটা বিশেষ বিবেচনা করার আহ্বান জানাই।