প্রতিদিন কেন খাবেন সিদ্ধ ডিম?

সুস্বাস্থ:বর্তমানে সবচাইতে সস্তা ও সহজলভ্য উপাদান হচ্ছে ডিম। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। ডিমের সাদা অংশে পানি ৮৮.০%, প্রোটিন বা আমিষ ১১.০%, চর্বি ০.২% এবং খনিজ পদার্থ ০.৮%। ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুমের মধ্যে ৪৮.০% পানি, ১৭.৫% প্রোটিন বা আমিষ, ৩২.৫% চর্বি এবং ২.০% খনিজ পদার্থ আছে। ডিমের কুসুম কোমল ও সহজে হজম হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ডিম ভেজে খাওয়ার চেয়ে সিদ্ধ করে খাওয়াই বেশি উপকারি। কারণ সিদ্ধ ডিমে, ডিমের সকল পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। চলুন জেনে নেই সিদ্ধ ডিমের চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

উন্নত প্রোটিন:
সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুরপরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন শরীরের মাসল উন্নত করতে সাহায্য করে ও শরীরের টিস্যু সেল গুলোকে শক্তশালি করে। একটি সেদ্ধ ডিম হতে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে:
সেদ্ধ ডিমে অবস্থিত লুটিন ও যেক্সানথিন এই দুটি ক্যারটিনয়েড আমাদের চোখের সুস্থ দৃষ্টি নির্ধারণে সাহায্য করে। ডিমের এই উপাদান গুলো আমাদের চোখের ছানি, মেকুলার পতন ও সূর্যের বেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে।

হাড় মজবুত করে:
সেদ্ধ ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে থাকে এবং ডিমে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি অস্টিওপরোসিস বন্ধ রাখে এবং দেহের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রন করে:
আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মস্তিষ্কের জন্য উপকারি:
ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে আছে ফলেট উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে। –সূত্র: হেলদিইটিং।