পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধের দাবি বিনিয়োগকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে। এই দিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক ১৬৮ ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪৪২ পয়েন্ট কমেছে। রোববার ও সোমবারও সূচকের বড় পতন হয় পুঁজিবাজারে। বুধবার ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সূচকের টানা পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। অনতিবিলম্বে দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে সম্মিলিত বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, করোনা জুজুতে মার্কেট পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। আমাদের যতটুকু পুঁজি আছে তাও শেষ হয়ে যাবে ফোর্স সেলের মাধ্যমে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, অন্তত ১০দিন লেনদেন বন্ধ রেখে কিছুটা হলেও আমাদের স্বস্তি দিক বিএসইসি।

তিনি বলেন, টানা পতনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে শেষ সম্বল টুকু থাকবে না। তাই অনতিবিলম্বে লেনদেন বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কোনো শঙ্কা না থাকার পরও করোনা জুজুতে রয়েছে সরকার। যেখানে সরকার দেশের জনগনকে আতঙ্ক থেকে বাঁচাবে সেখানে সরকার স্কুল কলেজ অযথাই বন্ধ করে উল্টো আতঙ্ক তৈরী করেছে।  তাই এই মুহূর্তে দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমরা দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছি। এরমধ্যে সংশ্লিষ্টরা বাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করে তারপর লেনদেন চালু করলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন না বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের বড় পতন ঘটে। ডিএসইএক্স ১৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৯ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮৩৪ ও ১২০৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বুধবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ২৩ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি টাকার।

ডিএসইতে বুধবার ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, দর কমেছে ৩৩৩টির এবং ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।