পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেয়া হয় -প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির কথা স্বীকার করে বলেছেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়। এসময় বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।

রোববার কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

পুকুর-খাল সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের গভীরতা খনন না করে চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়।

খালকাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু পাড় থেকে একটু মাটি তুলেই যেনো বিল (টাকা) না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজর রাখান নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন তার কাছে খাল কাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু ছেঁটে-ছুটে বিল তোলা হয়েছে এ বিষয়টি আমি চেক করিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি এটা ভালো করে দেখা দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কেউ কেউ করেছে, এটা আমিও দেখেছি। এটা সম্পর্কে তিনি (প্রধামন্ত্রী) জানেন এবং খুব স্টং মন্তব্য করেছেন। মাটিকাটা হলে সেটা যেনো প্রয়োজনীয় গভীর করে কাটা হয়। আর মাটি যে কাটা হয়েছে সে মাটি গেলো কোথায় এ বিষয়ে ঠিকাদারকে জবাব দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভালো কাজ করছেন আপনারা। দেশের উপকার হচ্ছে। কিন্তু আপনাদের কাজের মান নিয়ে অনেক মহলে প্রশ্ন আছে। আপনারা একটু পাতলা ঢালাই করেন ইত্যাদি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্রিটিশরা চিহ্নিত করেছিল বালুমহাল। এখনও ডিসিরা ওই বালুমহাল ইজারা দেন। ইতিমধ্যে নদী সরে গেছে, কিন্তু ওই জায়গায় যেহেতু বালুমহাল রয়েছে। তিনি বলেন, এগুলো ঠিক নয়। আবার সার্ভে করো। যেখানে নিরাপদ সেখানে দাও। এক জায়গায় কাটতে কাটতে গভীর হয়ে যায়, পরে পাড় ভাঙে, সেতু ভাঙে ইত্যাদি রিপোর্ট তার কাছে আছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’