পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর শত্রু শন্তু লারমার দল জেএসএস, দাবী কেএনএফের

নিউজ ডেস্ক: দুই অস্ত্রধারী সদস্য পাহারায় কেএনএফের নেতা অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখছেন।

পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর শত্রু শন্তু লারমার দল জেএসএস। দাবী কেএনএফের । বান্দরবানের পার্বত্য অঞ্চলে চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সংগঠনটির পক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

অজ্ঞাত স্থান থেকে পাঠানো ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো মুখোশ পরিহিত সংগঠনের এক নেতা বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পেছনে দুশস্ত্র সদস্য পাহারায় দাঁড়ানো। তবে ওই নেতার পরিচয় জানা যায়নি।

এ সময় কেএনএফ নেতা বলেছে, সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে কেএনএফ পাহাড়ে চলমান সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি নিরাপত্তা বাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযানে নামিয়ে দিয়েছে। মূলত কেএনএফ একটি শান্ত সংগঠন। মূলত পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে জনসংহতি সমিতি। তারা এলাকায় বাঙালিসহ বহু জাতি গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করেছে।

সে আরও বলেছে, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সংগঠন খুবই কম অস্ত্র জমা দিয়েছে। তারাই সেনাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা করে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে কেএনএফের ওপর। ওই হামলার পরেই পাহাড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। অভিযানে বম জাতিগোষ্ঠীর কয়েকজন হয়রানির শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকজন কুকি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সংগঠনটি স্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ডের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার নীলনকশাও বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এরপরই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। একইসঙ্গে নিরাপত্তার কারণে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) থেকে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।। যার ফলে বান্দরবান থেকে ধীরে ধীরে পর্যটক চলে যাচ্ছেন।