পারকিনসনের ঝুঁকি কমায় ব্রুকলি

পারকিনসনের ঝুঁকি কমায় ব্রুকলি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ব্রুকলি, লাল মরিচ ও অন্য যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ই থাকে, সেসব সব্জি পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। পারকিনসন রোগ এক প্রকারের নিউরো-ডিজেন্যারেটিভ বা স্নায়ুবিক রোগ বা স্নায়ু-অধঃপতনজনিত রোগ। রোগটি পারকিনসোনিসম, প্যারালাইসিস এজিট্যান্স বা শেকিং পালসি নামেও পরিচিত।

রোগটি সবচেয়ে পরিচিত নিউরো-ডিজেন্যারেটিভ রোগের মধ্যে দ্বিতীয়। এই রোগের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হলো স্নায়ুতে প্রিসাইনাপ্টিক প্রোটিন জমা হওয়া। এদিকে ব্রুকলি ক্রসিফেরি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত শীতকালীন সব্জি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট ও আঁশ আছে।
এটি হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। ব্রুকলি জারণরোধী ভিটামিন এ এবং সি সরবরাহ করে কোষের ক্ষতি রোধ করে। ব্রুকলিতে পাওয়া যায় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি। দিনে মাত্র এক শ’ গ্রাম ব্রুকলি শরীরে প্রতিদিনের ভিটামিন সি – এর চাহিদার দেড় শ’ শতাংশ পূরণ হতে পারে।

অন্যদিকে বেল পিপার বা রেড বেল পিপার বা ক্যাপসিকাম নামে পরিচিত লাল মরিচেও বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি ও ই ৩২ শতাংশ পর্যন্ত পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমায়।’ ব্রুকলি, পিপার, মিষ্টি আলু, কমলা ও স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ফল ও সব্জিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়া অলিভ ওয়েল ও নারকেলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। ব্রুকলির উপকারিতা অসংখ্য। পশ্চিমা বিশ্বের জনপ্রিয় এই সব্জিটি এখন বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্রুকলি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, মিনারেল, আঁশ ও এন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সব্জিটি এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই চাষ হচ্ছে। কাঁচা, সেদ্ধ, গ্রিল কিংবা রান্না করে ব্রুকলি খাওয়া যায়।