পাবনার পোলট্রি খামার ব্যবসায়ীরা বিপাকে

পাবনা সংবাদদাতা: উৎপাদন ঘাটতি আর পরিবহন সংকটের অজুহাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পাবনা খামার ব্যবসায়ীরা। গেলো প্রায় ৫ মাসে লোকসান দিতে দিতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পোল্ট্রি খামার। এ শিল্পে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এখনও কিছু খামার সচল রয়েছে। তবে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, জেলায় ছোট বড় মিলে মোট ২ হাজার ৭৩৫টি পোলট্রি খামার আছে। এসব খামারে ব্রয়লার এবং লেয়ার মুরগি পালন করা হয়। ব্যবসা মন্দা থাকায় প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খামারগুলো টিকিয়ে রাখতে প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে লকডাউনের প্রভাবে পোলট্রি খামারিরা পড়েছেন মহাবিপদে। খামার ব্যবসা ও প্রাণীজ প্রোটিনের উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারের ভর্তুকি বা বিশেষ প্রণোদনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।

পাবনা সদর উপজেলার রানীগ্রামের পোলট্রি খামারি তরুণ উদ্যোক্তা শুভ রহমান বলেন, তার খামারে দুই হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। আগে এক বস্তা (৫০ কেজি) মুরগির খাদ্যের দাম ছিল এক হাজার ৬৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৭০০ টাকা। এদিকে উৎপাদিত একশ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৭৫০ টাকা দরে। ডিমের দাম কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পোলট্রি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তিনি সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করেন। তিনি আরও জানান, খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১০০ টাকার ওপরে। লোকসানের শিকার হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই দেখা দিতে পারে প্রাণীজ প্রোটিনের ঘাটতি।