পাক-নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো এটিআর-৭২ এপিএ

পাক-নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো এটিআর-৭২র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মেরিনাইজড’ এটিআর-৭২ এয়ারক্রাফট ও লুনা এনজি মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) সার্ভিসে যুক্ত করেছে। ৪ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএন-এর গণমাধ্যম শাখা এ কথা জানায়।

পিএন-এর হাতে দুটি এটিআর-৭২ থাকলেও এর একটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটে (এমপিএ) রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি রূপান্তরের জন্য ২০১৬ সালে রাইনল্যান্ড এয়ার সার্ভিস (রাস)-এর সঙ্গে করে চুক্তি করা হয়। নতুন করে সাজানো প্রথম এমপিএ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাহিনীতে যুক্ত হয়।

পিএন-এর এটিআর-৭২ এমপিএ আরো যে নামে পরিচিত তাহলো রাস-৭২ সি ঈগল। এতে লিওনার্দোর তৈরি সিপ্রে ৭৩০০ই অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রনক্যালি স্ক্যানড এরে (এইএসএ) রাডার, এফএলআইআর সিস্টেমের তৈরি স্টার এসএএফআইআরই-৩ ইলেক্ট্র-অপটিক্যাল এন্ড ইনফ্রারেড (ইও/আইআর) টারেট ও ইলেক্ট্রনিক্সের ইলেক্ট্রনিক সাপোর্ট মেজার্স (ইএসএম) স্যুট রয়েছে।

মিশন ম্যানেজমেন্ট স্যুটে এসব সিস্টেম একত্রিত করেছে এরোডেটা এজি’র এরোমিশন। এরোমিশনের একটি সেনসর ফিউশন এলগরিদম রয়েছে, যা রাস-৭২ ক্রুদের বহুদিক থেকে পরিস্থিতিগত বিষয়ে সচেতন রাখতে পারবে।

সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধে (এএসডব্লিউ) অংশ নিতে সক্ষম রাস-৭২। এটি হালকা ধরনের এএসডব্লিউ টর্পেডো নিক্ষেপ করতে পারে।

নতুন সংযোজিত এটিআর-৭২ কোন এমপিএ নয়। তবে এটি কার্গো/প্যারাড্রপ কাজ করতে পারবে। ফলে পিএন-এর বিশেষ বাহিনীর অপারেশনে আরো নমনীয়তা যুক্ত হবে।

এদিকে লুনা এনজি ড্রোনগুলো ইএমটি পেঞ্জবার্গের তৈরি। একে বলা হয় ট্যাকটিক্যাল আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর টেকঅফ ওয়েট ১১০ কেজি। লুনা এনজি হলো হালকা ধরনের ড্রোন। তবে এতে সিনথেটিক এপারচার রাডার (এসএআর), সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, ইএসএম ও ইও/আইআর যুক্ত করা যায়। ১২ ঘন্টার বেশি উড়তে পারে এসব ড্রোন।

পিএন জানায় যে লুনা এনজিগুলো ব্যবহার করা হবে উপকূলীয় নজরদারি করার জন্য। এই বাহিনী আনম্যানড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকেল (ইউসিএভি) সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছে।