পাকিস্তানের অধিকাংশ পাম্প থেকে উধাও পেট্রোল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিজার্ভ সংকট ও বিদেশি ‍ঋণের চাপে জর্জরিত পাকিস্তানের অধিকাংশ পাম্পে পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না, দুর্লভ হয়ে উঠেছে তরল গ্যাস বা গ্যাসোলিনও। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরের পেট্রোল পাম্পের সামনে শুর হয়েছে গাড়ি ও মোটর সাইকেলের দীর্ঘ সারি।

পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য সচিব খাজা আতিফ দেশটির জাতীয় দৈনিক ডনকে বলেন, পাকিস্তানের সব শহরের অধিকাংশ পাম্পে পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না। তরল গ্যাস বা গ্যাসোলিনের স্টেশনগুলোও বেশিরভাগই বন্ধ আছে। ফলে সিএনজিচালিত মোটরযানগুলোও প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাচ্ছে না।

অল্প কয়েকটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের সরবরাহ আছে, তবে সেসব স্টেশন খুবই সীমিত পরিমাণে বিক্রি করছে গ্যাসোলিন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন— দেশটিতে আর মাত্র ২০ দিন চলার মতো জ্বালানি তেলের মজুত আছে। এই পরিস্থিতিতে যারা জ্বালানির মজুত নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করবে কিংবা যেসব ডিলার-কোম্পানি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করবে— তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

তার একদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের খোলা বাজার থেকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেল পেট্রোল।

এদিকে, সাম্প্রতিক এই জ্বালানি সংকটের জন্য জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন ডিলাররা। পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ব্যবসায়ীরা দেশের পাম্প ও গ্যাস স্টেশনগুলোতে প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে দেশটির জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিজ (ওএমসিএস) এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেছে, ‘আমরা ঠিকমতোই সরবরাহ পাঠিয়েছি। মূল কারসাজি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।