নাশকতার মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাশকতার একটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনালের এটিএম আজহারুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১০ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে জামায়াতের শীর্ষ নেতা নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দ-বিধির ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৫০৬ ধারায় ওইদিনই শাহবাগ থানার এসআই এমদাদুল হক দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ১৫ মার্চ আদালতে এটিএম আজহারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন একই থানার এসআই আব্দুর রশিদ। চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে এটিএম আজহার ছাড়াও ছিলেন মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, জাতায়াত নেতা অধ্যাপক তসলিম আলম, মকবুল আহমেদ, অধ্যাপক মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও শিবির নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (শিবিরের সাবেক সভাপতি)।

মামলাটিতে ৮ বছর আগে চার্জশিট দাখিল হলেও এটিএম আজহার মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারচলায় এবং পরবর্তীতে ফাঁসির দ-ের আদেশ হওয়ায় এতদিন তাকে এ আদালতে নিরাপত্তার জন্য হাজির না করায় মামলাটির বিচারকাজ বন্ধ ছিল।

মঙ্গলবার হাজির করায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হলো। আর মামলার আসামি মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যক্রর হওয়ায় আদালত তাকে এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার শুনানিকালে আসামি আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক অব্যাহতির আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করেন দ-বিধির ১৪৩/৩৩২/৩৫৩ ধারায় চার্জগঠন করেন।

শুনানিকালে এটিএম আজহারকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামিরা জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট এটিএম আজহারুল ইসলাম মগবাজারের বাসা থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার ফাঁসির রায় দেয়। ওই রায় আপিলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ বহাল রাখেন।