নাগা মরিচ চারা চাষে সাবলম্বী কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার বাহুবল উপজেলার ফয়জাবাদ পাহাড়ে অবস্থিত সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের বাসিন্দা ফুল মিয়া ,তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার।

এক সময় অভাব অনটনে গ্রাস করেছিল। এ চারা লেবু বাগানের। চাষিরা ক্রয় করেন। চারাগুলো লেবু গাছের নিচে নিচে রোপন করে তারা (চাষিরা)।

নাগা মরিচের বাম্পার ফলন পান। সেই থেকে পাহাড়ি লেবু বাগানে ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে। আসছে নাগা মরিচ। ফুল মিয়া প্রতিটি মরিচের চারা ৪ টাকায় বিক্রি করছেন। বর্তমানে তিনি বছরে এক লাখ নাগা মরিচের চারা বিক্রি করতে পারছেন। এতে করে ৪ লাখ টাকা আসছে। এরমধ্যে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।

এ টাকায় তিনি জমি ক্রয় করছেন। আশ্রয়ণ পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ফুল মিয়া ঘরের নিকটে নাগা মরিচের নার্সারিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত।

আলাপকালে তিনি জানান, গোবর ও মাটি মিশ্রিত করে বীজ বপণ করেন। প্রায় এক সপ্তাহে চারা ফুটে যায়। তারপর পরিচর্যার মাধ্যমে চারা হয় । রোপনের উপযুক্ত হলে বিক্রি শুরু হয়।

বিশেষ করে এ চারা লেবু চাষিরা বেশি ক্রয় করেন। প্রতিটি লেবু গাছের নিচে নিচে এ চারা রোপনের কিছুদিন গেলেই নাগা মরিচ আসে। প্রতিটি গাছ কমপক্ষে দুই বছর ফসল দেয়। পরিচর্যা করলে তিন বছরও ফসল পাওয়া সম্ভব। মূলত চারা বিক্রির টাকায়ই তার সংসার চলছে। তিনি বলেন, নিজস্ব পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারায় বাহুবলের পাহাড়ি অঞ্চলে নাগার বাম্পার ফলন পেয়ে লেবু চাষিরাও লাভবান। সেই সঙ্গে তিনিও এ চারা বিক্রি করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন।

যার ফলে সফলতাও পাচ্ছেন। লেবু চাষি শাহজাহান মিয়া বলেন, রাজিয়া খাতুনের উৎপাদিত চারায় নাগা মরিচের ভালো ফলন পেয়েছি। তাই লেবু চাষিরা তার (ফুল মিয়া) কাছ থেকে এ চারা ক্রয় করছেন। অন্যান্য চাষিও সফলতা পান। তাই নাগা মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহম্মদ আলী বলেন, ফুল মিয়া, নাগা মরিচের চারা বিক্রি করে নিজে লাভবান। তেমনি লেবু চাষিরাও এ চারা রোপন করে ভালো ফলন পান। পাহাড়ে এ ফসলটি বারো মাস চাষ হচ্ছে। এর চাষে কেমিক্যাল প্রয়োগ করতে হয় না। তিনি বলেন, ফুল মিয়া বাড়িতে বসেই নাগা মরিচের চারা উৎপাদন করে বছরে লাখ টাকা আয় করতে পারছেন। তার মতো বেকার কৃষকদের বাড়ি বাড়ি কৃষির মাধ্যমে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।