ধানের দাম কমছেই, চালের দাম বাড়ছেই

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: দেশজুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও বিভিন্ন জেলার কৃষকরা হতাশ। কারণ বর্তমানে বাজারে প্রায় ৫০০ টাকা মণে ধান বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি পড়ছে প্রায় ১২.৫ টাকার মত। এত কম মূল্যের কারণে উৎপাদন খরচই উঠছে না কৃষকের।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। ধানের মূল্য নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা মণ ছাড়া ধান ক্রয় করছেন না। তাই কৃষকরা বাধ্য হয়ে এ মূল্যে ধান বিক্রি করছেন।

আজমিরীগঞ্জের কৃষক সুমন মিয়া জানান, অনেক পরিশ্রমের পর ধান কাটার সময় আসার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আড়তদাররা একজোট হয়ে কমিয়ে দিয়েছেন ধানের মূল্য। এ কারণে তিনি বিপাকে পড়েছেন। এতো কম মূল্যে ধান বিক্রি করলে তিনি লোকসানে পরবেন। কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়ে দিশেহারা।

ধানের দাম নিম্নমুখী হলেও বাজারে চালের দাম আবারও উর্দ্ধদমুখী হতে শুরু করেছে। কেবল সরকারি হিসেবেই গত একমাসের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। ৬ নভেম্বর মোটা চাল কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ৬ ডিসেম্বর সেটার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকায়। তবে এটা বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে না ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর এ সময়ে দাম কিছুটা বাড়ে বলে জানান তারা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্য মতে, গত এক মাসে সব ধরনের চালের মূল্য বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাঝারি ধরনের চালের মূল্য। গত এক মাসে এই চালের মূল্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত ৬ নভেম্বর মাঝারি ধরনের চালের প্রতি কেজির মূল্য ছিল ৪২ থেকে ৪৮ টাকা। আর এই মাসে অর্থাৎ গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, চিকন চালের পাশাপাশি মোটা চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে বলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।