ধানের দামে হতাশ চাষিরা

বোরো কৃষকের লাভ কমেছে ৪০ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক: ধানের দাম নিয়ে হতাশা কাটছে না নওগাঁর চাষিদের। মৌসুমের শেষ ভাগে ভালো দাম মিলবে এমন আশায় গোলায় রাখা ধান, হাটে তোলার পর ন্যায্য দর না পেয়ে ব্যবসায়ীদের বাজার নিয়ন্ত্রণকে দুষছেন তারা। তবে চাল কল মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগের তীর ছুড়ছেন বড় বড় অটো রাইস মিল ব্যবসায়ীদের দিকে।

আমন মৌসুমের ধান মাঠ থেকে কৃষকরা কেটে তুলেছে প্রায় দু’মাস আগে। ধার দেনা শোধ আর নানা প্রয়োজনে বেশির ভাগ কৃষকই ঘরে তোলা ধান বিক্রি করে ফেলেছেন। তবে মৌসুমের শেষ ভাগে বেশি দাম মিলবে এমন আশায় কিছু কৃষক গোলায় ধান রাখলেও হাটে তোলার পর ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন হাট থেকে। এ জন্য কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের বাজার নিয়ন্ত্রণকেই দুষছেন।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, সাড়ে ৫-৬শ’ টাকা মণ। এতে আমাদের কিছুই থাকবে না। ধানের দাম আরেকটু বেশি হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

নওগাঁর হাটগুলোতে মোটা জাতের ধান-গুটি স্বর্ণা ৬৫০ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ৭০০ টাকা, আটাশ জাতের ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, শুকনো ধানের দর ন্যূনতম হাজার টাকা না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

নওগাঁ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জি এম ফারুক আহম্মেদ পাটোয়ারী বলেন, নওগাঁ সদর উপজেলায় আমরা অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করব। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে অবশ্যই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

ধানের বাজার, অটো রাইস মিল ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করায় দাম বাড়ছে না দাবি ব্যবসায়ীদের।

জেলায় গেল আমন মৌসুমে দুই লাখ হেক্টর জমিতে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। আর কৃষকের কাছ থেকে এক হাজার চল্লিশ টাকা মণ দরে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ।